ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১৯৮৪ ইং সালে কার্যক্রম শুরুর সময় হতে ফেনী জেলার কৃষি, শিল্প ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্নতা অর্জন, বৃহৎ-সহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যাপক প্রসার এবং শিক্ষা-স্বাস্থ ও তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ভোলা জেলা তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে দেশব্যাপী পরিচালিত পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের একটি অংশরুপে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে। লাভ নয়, লোকশান নয়- গ্রাহকগনই প্রকৃত মালিক ও সেবক মূলনীতিতে এবং সমবায় ভিত্তিতে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
গ্রামীন উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লবের জন্য সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির ১৬নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরনের ব্যবস্থা, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্ জনস্বাস্থের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৭ সালে ২৯শে অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড অধ্যাদেশ অনুমোদন লাভ করে এবং ৩১শে অক্টোবর গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
] অবাধ ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সদস্যতা,
] তৃনমূল পর্যায়ে গYতান্ত্রিক চর্চা,
] লাভ নয় লোকসান নয় ভিত্তিতে পরিচালিত,
এই ৪টি মূলনীতি অনুসরনে প্রাথমিক ভাবে ১৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়ে ০২/০১/১৯৮০ ইং তারিখ USAID এর সহায়তায় আনুষ্ঠানিক বিদ্যুতায়ন শুরু হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে ১৬ই ফেব্রুয়ারী তারিখের কুয়েতী সাহায্য সংস্থা KFAED ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমশুরু করে।
? অত্র সমিতির আওতায় প্রায় ৯০% গ্রাম বিদ্যুতায়ন করা হইয়াছে।
? সমিতির ভৌগলিক এলাকায় ২৪৫২ টি সেচ পাম্প বিদ্যুতায়ন করা হইয়াছে।
? বিদ্যুতায়িত পাম্পের মাধ্যমে প্রায় ২৩৬৩০ একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসিয়াছে।
? সমিতি ভৌগলিক এলাকায় ছোট বড় ২২৫৩ টি শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হইয়াছে।
? এই সকল শিল্প কারখানার আওতায় প্রায় ৯০১২ জন লোকের কর্ম সংস্থান হইয়াছে।
? এই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের বানিজ্যিক কার্যক্রম প্রসারের ফলে আরো অতিরিক্ত কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হইয়াছে। সেচ পাম্পের পাশাপাশি ৬২ টি মৎস প্রকল্প ও ৫৮৩ টি পোলট্রি ফার্মে সংযোগ প্রদানের ফলে অত্রাঞ্চলে প্রোটিনের চাহিদা পূরন পূর্বক দেশের সকল এলাকায় প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে মিটানো সম্ভব হইয়াছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন কর্যক্রমের ফলে গ্রামাঞ্চলে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাইয়াছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস